মানব সভ্যতা বিকাশের জন্য দরকার সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজের প্রথম সোপান হলো পরিবার। পারিবারিক জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমেই। কাজেই মানব সভ্যতা বিকাশে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ের গুরুত্ব
বিয়ে প্রত্যেকটি পুরুষ ও নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নারী-পুরুষের হৃদয়ে প্রশান্তি লাভের নির্ভরযোগ্য এক আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিবাহবন্ধন। নারী পুরুষের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়ে হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায় এবং মানুষের চরিত্র রক্ষার হাতিয়ার।
এইজন্য মানবতার ধর্ম, আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন বিধান ইসলাম বিয়ে করার জন্য উৎসাহিত করেছে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরানূল কারীমে বলেছেন, “তোমার পছন্দ অনুযায়ী তুমি বিবাহ কর।”
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ের গুরুত্ব
মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ কখনো একা থাকতে পারে না। একসাথে থাকার যাত্রা শুরু হয় বিয়ের মাধমেই, বিয়ের মাধ্যমেই দুটি মানুষ একসাথে যাত্রা শুরু করে, একে অপরের সাথে সকল আবেগ, অনুভুতি, দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে থাকে। বিয়ের মাধ্যমেই একজন পুরুষ এবং একজন নারী একে অপরের সকল কাজকর্মের সঙ্গি হয়ে যায়। তাদের মাঝে প্রেম প্রীতি, ভালোবাসা গড়ে ওঠে এবং সন্তান-সন্ততি লাভ করে। সুতরাং বলা যায় মানব জীবনে বংশ রক্ষার ধারা বিবাহ বন্ধনে বাঁধা।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ের গুরুত্ব
শুধু ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশন আমেরিকাতে ১,২৭,৫৪৫ জন মানুষের উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে যে, বিবাহিত পুরুষেরা, অবিবাহিত পুরুষদের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে এবং বেশি দিন বাঁচে। গত ১৫০ বছরের গবেষনায়ও দেখা গিয়েছে যে, বিবাহ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। জাপানের বিজ্ঞানীদের মতে, যে সমস্ত লোকেরা কখনোই বিয়ে করেনি, তাদের ক্ষেত্রে কার্ডিওভাসকুলার রোগের (হৃদরোগ) সম্ভাবনা অন্যান্য বিবাহিত মানুষের চেয়ে তিন গুণ বেশি হয়ে থাকে।